হনুমান চালীসা বাংলা – Hanuman Chalisa Bengali

হনুমান চালিসা হল ভারতীয় ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি। এটি হিন্দু ধর্মের প্রধান গ্রন্থগুলোর একটি এবং প্রায় ৪০টি শব্দে গঠিত। হনুমান চালিসার প্রধান উদ্দেশ্য হল হনুমান ভগবানের স্তুতি করা। এটি মূলত সংস্কৃত ভাষায় লেখা হয়েছে এবং নামটি চালিসা নামের কারণে দেওয়া হয়েছে।

হনুমান চালীসা (Lyrics)


দোহা

শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দাযক ফলচারি ॥
বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥

চৌপাঈ

জয হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর ।
জয কপীশ তিহু লোক উজাগর ॥ ૧ ॥

রামদূত অতুলিত বলধামা ।
অংজনি পুত্র পবনসুত নামা ॥ ২ ॥

মহাবীর বিক্রম বজরংগী ।
কুমতি নিবার সুমতি কে সংগী ॥৩ ॥

কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা ।
কানন কুংডল কুংচিত কেশা ॥ ৪ ॥

হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ ।
কাংথে মূংজ জনেবূ সাজৈ ॥ ৫॥

শংকর সুবন কেসরী নংদন ।
তেজ প্রতাপ মহাজগ বংদন ॥ ৬ ॥

বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥ ৭ ॥

প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিযা ।
রামলখন সীতা মন বসিযা ॥ ৮ ॥

সূক্ষ্ম রূপধরি সিযহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জলাবা ॥ ৯ ॥

ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচংদ্র কে কাজ সংবারে ॥ ১০ ॥

লায সংজীবন লখন জিযাযে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উরলাযে ॥ ১১ ॥

রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাযী ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভাযী ॥ ১২ ॥

সহস্র বদন তুম্হরো যশগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কংঠ লগাবৈ ॥ ১৩ ॥

সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥ ১৪ ॥

যম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥ ১৫ ॥

তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায রাজপদ দীন্হা ॥ ১৬ ॥

তুম্হরো মংত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভযে সব জগ জানা ॥ ১৭ ॥

যুগ সহস্র যোজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥ ১৮ ॥

প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লাংঘি গযে অচরজ নাহী ॥ ১৯ ॥

দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে ॥ ২০ ॥

রাম দুআরে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥ ২১ ॥

সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না ॥ ২২ ॥

আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥ ২৩ ॥

ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহবীর জব নাম সুনাবৈ ॥ ২৪ ॥

নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরংতর হনুমত বীরা ॥ ২৫ ॥

সংকট সে হনুমান ছুডাবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥ ২৬ ॥

সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥ ২৭ ॥

ঔর মনোরধ জো কোযি লাবৈ ।
তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥ ২৮ ॥

চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিযারা ॥ ২৯ ॥

সাধু সংত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥ ৩০ ॥

অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্হ জানকী মাতা ॥ ৩১ ॥

রাম রসাযন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥ ৩২ ॥

তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ ॥ ৩৩ ॥

অংত কাল রঘুপতি পুরজাযী ।
জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাযী ॥ ৩৪ ॥

ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরযী ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করযী ॥ ৩৫ ॥

সংকট ক(হ)টৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥ ৩৬ ॥

জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাযী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নাযী ॥ ৩৭ ॥

জো শত বার পাঠ কর কোযী ।
ছূটহি বংদি মহা সুখ হোযী ॥ ৩৮ ॥

জো যহ পডৈ হনুমান চালীসা ।
হোয সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥ ৩৯ ॥

তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয মহ ডেরা ॥ ৪০ ॥

দোহা

পবন তনয সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ্ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয বসহু সুরভূপ্ ॥


হনুমান চালীসা কি?

হানুমান চালিসা হল হানুমান জির উপাসনার একটি উপাখ্যান বা প্রার্থনা। এটি হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাসনা হিসাবে বিবেচিত হয়। হানুমান চালিসা এর স্বরলিপি লিখে রাখা হয় এবং এটি প্রতিদিন উপাসনার সময় পাঠ করা হয়।

হনুমান চালীসা কেন উপাসনা করা হয়?

হানুমান চালিসা উপাসনার কারণ হল এটি হানুমান জির কাছে প্রার্থনা এবং আশীর্বাদ জানানো। হানুমান জি অত্যন্ত দয়ালু এবং মহান শক্তির স্বমোহন ব্যক্তিত্ব। এটি আমাদের উপাসনার মাধ্যমে তাঁর আশীর্বাদ জানানো এবং আমাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য তাঁর শক্তি ও করুণা জানানোর একটি মাধ্যম।

হনুমান চালীসা পড়লে কী ফল পাওয়া যায়?

হানুমান চালিসা পড়লে আপনি আনন্দ এবং শান্তি অনুভব করতে পারেন। এটি আপনার মনে প্রশান্তি এবং আনন্দ উত্পাদন করবে। হানুমান চালিসা পাঠ করলে আপনার জীবনে সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে এবং আপনার চিন্তা ও বিচার শক্তি বৃদ্ধি পাবে। হানুমান চালিসার পাঠ আপনাকে মনোযোগ এবং শান্তি দিবে এবং আপনাকে জীবনের প্রতিদিন উপহার দেবে।

হানুমান চালিসা পাঠ করার পদ্ধতি

হানুমান চালিসা পাঠ করার পদ্ধতি অনেকটা একটা পূজার মতো। এটি সাধারণত কিছু আসন বা পূজার স্থানে বসে পাঠ করা হয়। নিচে হানুমান চালিসা পাঠ করার পদ্ধতি উল্লেখ করা হলোঃ

  • প্রথমে হাত ধোয়া উচিত।
  • তারপর আসন বা পূজার স্থানে বসে হাঁটু দিয়ে একটি কুষ্ঠি বসানো উচিত।
  • মন শুধু করে একটি লতার মাধ্যমে হানুমান জির প্রণাম জানানো উচিত।
  • এরপর হানুমান চালিসা পাঠ করা যাক।
  • পাঠ শেষে মনে করে পূর্বে হয়েছে যে এটি পবিত্র মন্ত্র, তাই পাঠ শেষ করার পরে মন শান্ত থাকার জন্য কিছুক্ষণ ধ্যান দিয়ে বসে থাকা উচিত।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =